নামাজ পড়ার সময় যদি পেছনের সারি থেকে বাচ্চাদের হাসির আওয়াজ না আসে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে ভয় করুন
শুনেছি তুরস্কের বেশির ভাগ
মসজিদের দেওয়ালে একটা কথা লিখা থাকে !কথাটি হলো :
"মুহতারাম !
নামাজ পড়ার সময় যদি পেছনের সারি থেকে বাচ্চাদের হাসির আওয়াজ না আসে তাহলে
পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে ভয় করুন ।"
আরব প্রবাসীদের তথ্যমতে,
আরব দেশে
বাচ্চারা মসজিদে মোটামোটি উপস্থিত থাকে । তাদের যেখানে ইচ্ছা
খেয়াল খুশী মতো কাতারে দাঁড়ায় ।
বড়রা কিছু বলেনা,
এমনকি অনেক সময় নামাজের সময় বাচ্চারা পেছনে বা সামনে কোন কাতারে হইহুল্লোড় করছে, অথচ নামাজ শেষে ইমাম, মুসল্লি কেউ কিছু বলেনা ।
একদিন একজনকে জিজ্ঞেস করা হলো :
বাচ্চারা এতো ডিস্টার্ব করার পরও তাদেরকে কেউ কিছু না বলার কারণ কী ?
তিনি উত্তর দিলেন,
বাচ্চারা হলো ফেরেশতার মতো ।
তারা এখানে আসবে, একটু দুষ্টামি করবে কিন্তু দেখতে দেখতে এটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে ।
দুষ্টামির ব্যাপারটা বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে, সেটা কোন ব্যাপার না ।
কিন্তু এখন যদি তাদেরকে মসজিদে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় কিংবা প্রহার করা হয়,
তাহলে তো সে আর কখনও আসতেই চাইবেনা ।
কতই না সুন্দর যুক্তি !!!
কিন্তু তার ঠিক
উল্টো চিত্র দেখবেন আমাদের বাংলাদেশে ।
আমি এমনও দেখেছি নাতীকে মসজিদে নিয়ে আসার কারণে দাদার সাথে
আরেকজনের মারামারি লেগে যাচ্ছিলো প্রায় । তাছাড়া এলাকার সিজনাল মুরব্বিরা তো মসজিদে গেলে বড় বড় মোল্লা হয়ে যায় ।
সামনের কাতারে তো ছোটদের দাঁড়াতে দেই না,
বরং বাচ্চারা আওয়াজ করলে
চড়-থাপ্পর এসব তো আছেই ।
আমাদের মতো মোল্লারাও এটাকে এড়িয়ে যায় ।
অতএব,
এ ব্যাপারে তরুণদের সতর্ক হওয়া দরকার, মুরব্বিদেরকে তাদের এসব বুঝানো এবং আমাদের হুজুরদের বয়ানেও এসব স্পষ্ট করা দরকার ।
তাহলে আমাদের আগামী প্রজন্ম তথা
বাচ্চারা মসজিদমুখী হতে আগ্রহী হবে ।
কোন মন্তব্য নেই