Header Ads

Header ADS

নামাজ পড়ার সময় যদি পেছনের সারি থেকে বাচ্চাদের হাসির আওয়াজ না আসে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে ভয় করুন

 শুনেছি তুরস্কের বেশির ভাগ

মসজিদের দেওয়ালে একটা কথা লিখা থাকে !🕌🕌

কথাটি হলো :
"মুহতারাম !
নামাজ পড়ার সময় যদি পেছনের সারি থেকে বাচ্চাদের হাসির আওয়াজ না আসে তাহলে
পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে ভয় করুন ।"💜

আরব প্রবাসীদের তথ্যমতে,
আরব দেশে
বাচ্চারা মসজিদে মোটামোটি উপস্থিত থাকে । তাদের যেখানে ইচ্ছা
খেয়াল খুশী মতো কাতারে দাঁড়ায় ।
বড়রা কিছু বলেনা,
এমনকি অনেক সময় নামাজের সময় বাচ্চারা পেছনে বা সামনে কোন কাতারে হইহুল্লোড় করছে, অথচ নামাজ শেষে ইমাম, মুসল্লি কেউ কিছু বলেনা ।💛

একদিন একজনকে জিজ্ঞেস করা হলো :
বাচ্চারা এতো ডিস্টার্ব করার পরও তাদেরকে কেউ কিছু না বলার কারণ কী ?
তিনি উত্তর দিলেন, 💝
বাচ্চারা হলো ফেরেশতার মতো ।
তারা এখানে আসবে, একটু দুষ্টামি করবে কিন্তু দেখতে দেখতে এটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে ।
দুষ্টামির ব্যাপারটা বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে, সেটা কোন ব্যাপার না ।
কিন্তু এখন যদি তাদেরকে মসজিদে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় কিংবা প্রহার করা হয়,
তাহলে তো সে আর কখনও আসতেই চাইবেনা ।

কতই না সুন্দর যুক্তি !!!



কিন্তু তার ঠিক
উল্টো চিত্র দেখবেন আমাদের বাংলাদেশে ।
আমি এমনও দেখেছি নাতীকে মসজিদে নিয়ে আসার কারণে দাদার সাথে
আরেকজনের মারামারি লেগে যাচ্ছিলো প্রায় । তাছাড়া এলাকার সিজনাল মুরব্বিরা তো মসজিদে গেলে বড় বড় মোল্লা হয়ে যায় ।
সামনের কাতারে তো ছোটদের দাঁড়াতে দেই না,
বরং বাচ্চারা আওয়াজ করলে
চড়-থাপ্পর এসব তো আছেই ।
আমাদের মতো মোল্লারাও এটাকে এড়িয়ে যায় ।

অতএব,
এ ব্যাপারে তরুণদের সতর্ক হওয়া দরকার, মুরব্বিদেরকে তাদের এসব বুঝানো এবং আমাদের হুজুরদের বয়ানেও এসব স্পষ্ট করা দরকার ।
তাহলে আমাদের আগামী প্রজন্ম তথা
বাচ্চারা মসজিদমুখী হতে আগ্রহী হবে ।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.